সোনারগাঁয়ে ‘যৌন উত্তেজক শরবত’ উৎপাদন, গ্রেপ্তার ১২  

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দুটি কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে অননুমোদিত যৌন উত্তেজক শরবত ও মশার কয়েল উৎপাদনের অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

সোমবার উপজেলার কুতুবপুরে ‘এম কে ফুডস্’ ও ‘এম এম কনজুমার‘ নামের এই দুই কারখানায় অভিযান চালানো হয়। র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. সুমন মোল্লা (১৯), মো. রকিবুল ইসলাম (২২), মো. ফয়সাল আহম্মেদ (১৯), রাজু বেপারী (২৪), মো. খায়রুল আলম (৪৭), হাবু বেপারী (৫০), মো. রাকিব হোসাইন (২৪), মো. আব্দুর রহমান (২৭), মো. আশরাফুল ইসলাম (২৫), তাহমীদ ইসলাম (২৩), আনোয়ার হোসেন (২২) ও রাশেদ গাজী (২৩)।

অভিযানে কারখানা দুটি থেকে সাড়ে সাত হাজার বোতলের মতো অননুমোদিত যৌন উত্তেজক শরবত ও বিপুল পরিমাণ অননুমোদিত মশার কয়েল এবং পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি কভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে ওই কারখানা দুটি দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে অননুমোদিত যৌন উত্তেজক শরবত এবং ভেজাল কয়েল উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিল।

জানানো হয়, এম এম কনজুমার দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে জাম্বু, গাংচিল, ইগলু, ম্যাক্স, নাইট মাস্টার ইত্যাদি বিভিন্ন খ্যাতিসম্পন্ন ব্র্যান্ডের নামে কয়েল তৈরি ও প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করে আসছে। এছাড়া এম কে ফুডস্-এর যৌন উত্তেজক ‘লায়ন ফুডস শরবত’ প্যারাসিটামল পাউডার, টেস্টিং সল্ট, স্যাকারিন, এমপিএস, ব্যাফেন, এসএস পাউডার, সোডিয়াম পাউডার, সাইট্রিক এসিড, ঘন চিনি, সাধারণ চিনি, ফ্লেভার, রং এমন ১৬টি ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, এই অননুমোদিত ভেজাল কয়েল ও যৌন উত্তেজক শরবত উৎপাদন করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছে বলে গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নেওয়া, অননুমোদিত যৌন উত্তেজক শরবত ও মশার কয়েল উৎপাদনের অভিযোগে গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: